অসমাপ্ত প্রেমের কাহিনি
আমার এই গল্পে ভালবাসার সত্তিকারের কাহিনী লিখে পাঠকদের জানাচ্ছি একটু শান্তি পাব বলে, তবে শান্তি দেয়ার একমাত্র মালিক আল্লাহ, এগুলো মনের আক্ষেপ আর আবেগ মাত্র। আমি আমার জীবনের ঘটে যাওয়া কাহিনী যেমন লিখলাম তেমনি আপনাদের জীবন কাহিনীও এই ভাবে ইন্টারনেটে লিখে দিতে পারেন। কিভাবে দিবেন সম্পূর্ন বিবরন নিচে দেওয়া আছে। আমার গল্প অনেক বড় তাই যদি পড়তে না পরেন কোন সমস্যা নেই এটা শুধু আমার সৃতি করে রাখার জন্যে এত বড় করেছি। তাই নিচে গিয়ে দেখুন আপনার গল্প কিভাবে আপনি এই ওয়েবসাইটে দিতে পারেন।পড়ার ধয্য না থাকলে যাতে হারিয়ে না ফেলেন আপনার সুবিধার জন্য প্যারা আকারে লিখছি মানে এক দুই নাম্বার দিয়ে। শুরু করছি আমার জীবনের কানিনী লিখতে। আমার এই কাহিনী পরে আপনাদের মনে যদি কোন প্রশ্নের উত্তর খুজে পান অবশ্যই আমাকে জানাবেন কমেন্টের মাধ্যমে।শুরুতেই আমার পরিচয় দেই। আমার নাম শাহারিয়া আহাম্মেদ, ডাক নাম রাজু। আমরা তিন ভাই, কোন বোন নেই। অনেক ছোট বেলায় আমার মা মারা যায়।আমার মায়ের প্রথম ও শেষ সন্তান আমি। পরে আমার দ্বিতিয় মায়ের আরো দুই ভাই জন্ম নিয়েছে।
LOVE STORY BANGLA |
অনেকে বলে আমার জন্মের পর আমার বাচার হাল ছিল না। আল্লাহুর অশেষ কৃপায় আমার বৃদ্ধ দাদীর বুকে দুধ নেমে আসে আর আমি তা খেয়েই বড় হই। অনেকে ভাবতে পারেন গাভীর দুধ খাওয়ালেই তো হত কিন্তু আমার ডায়রিয়া হয়ে মরার অবস্থা হত বলে খাওয়াতে পারত না। আমার মা মারা যাবার পর বাবা পাগলের মত ঘুরে বেড়াত বলে আমার ছোট চাচা আমাকে তখন থেকেই তার সন্তানের মতই বড় করে তোলেন। এক বছর বয়স থেকে আমি ছোট চাচার পাশে। আমার বয়স এখন তেঁইশ বছর, এর বাইশ বছরই চাচার পাশেই খেয়ে দেয়ে বড় হয়েছি। মুটামুটি সকলের কাছেই আমি অনেক আদুরে বড় হয়েছি। আমার দাদির ভালবাসায় আমার মা হারানোর কষ্ট বুঝতে পারি নাই। শুনুন আমার ঘটে যাওয়া প্রেম কাহিনী। প্রতিটা প্রাণীই প্রেমের জন্য জোরা হয়ে দুনিয়াতে এসেছে। যাকিছু প্রাণী আছে সকলেরই স্ত্রী রুপ রয়েছে। প্রকৃত ভালবাসা আল্লাহু মানুষের মাঝেই দিয়েছেন। কারন সৃষ্টির সেরা প্রাণী মানুষ। আমি একটা মেয়েকে ভালোবেসেছি বলতে পারেন আমার অপরাধ কোথায়? ভালোবাসা তো পবিত্র।আমি অনেক আবেগী একটা ছেলে। মনেহয় মহান আল্লাহ আমার অন্তরে অন্যান্য মানুষের জন্য অনেক ভালবাসা দিয়েছেন। মানুষ মুলত আবেগের হয় বেশি বিষেশ করে প্রেম-ভালবাসার বিষয়ে। আবেগে থাকা অবস্থায় তার আচরণ বাচ্চাদের মত হয়। আমি যখন ভাল-মন্দ বুঝতে শিখলাম তখন আমার একটি মেয়েকে ভাল লাগত।আমি শুধু শুনেছি ওর চেহারা নাকি ওতটা সুন্দর না কিন্তু আমি আজওব্দি ওর মত এত শুন্দর মেয়ে খুজে পাই নি সেটা হল চরিত্রের দিক
প্রথম খন্ড থেকে।ওর অনেক সুন্দর চেহারা। আমার মনে হত এই পৃথিবীর সমস্ত সুখ ওকে দেখলেই পাই।আমি ওকে আসমানের থেকে বেশি জায়গা আমার মনের মাঝে রেখে দিয়েছি। আমি একটু বোকা টাইপের ছিলাম। আমি নিজের প্রতি নিজের জত্ন করতে পারতাম না বিধায় একটু অপরিস্কার থাকতাম, মানে আনস্মার্ট হয়ে।আমি যে মেয়েটিকে ভালোবাসি ওর নাম আছিয়া। আমি আছিয়াকে ভালবাসি তখন আমার বয়স তের কি চৌদ্দ।আছিয়াকে অনেক দিন হয়ে গেল মনের কথা মনেই চেপে যাচ্ছি কিন্তু বলার মত সাহস পাচ্ছি না। সরাসরি প্রস্তাব দেয়ার মত আমার সাহস নেই। তবে আমি কখনো ভাবতাম না যে, আছিয়া আমাকে না করবে। কারন আমি সব সময় ভাবতাম দিনে বার ঘন্টার প্রায় নয় ঘন্টা যার কথা ভাবি সে আমাকে অবশ্যই ভাল বাসবে। আমি আমার মনের ভালবাসার কথাটা জানালাম পাশের বাড়ির এক আন্টির কাছে। সে আমাকে আশ্ছাস দিয়ে বলল ঠিক আছে চাচা তুমি একটা চিঠি লিখ, দেয়ার দায়িত্ব আমার। আমি খুশিতে আত্মহারা, কারন প্রায় এক বছর ধরে যে কথাটা বলতে পারিনি সেটা আমি বলতে যাচ্ছি চিঠিটার মাধ্যমে। তখন আমি খুব ভিতু ছিলাম এবং আমি দশম শ্রেণীর ছাত্র আর আছিয়া অষ্টম শ্রেণীতে পরে।সামনে আমার এসএসসি পরিক্ষা। আমি পরায় খুব অমনোযোগি ছিলাম। কারন ছিল আমার ভিতর আছিয়া শব্দটি সবসময়ের জন্য সরতো না।আমি আছিয়াকে নিয়ে অনেক ভাবতাম আর আয়নার সামনে গিয়ে প্রাকটিস করতাম কোনভাবে প্রপোজ করলে রাজি হতে পারে।কিন্তু এখনতো চিঠিতেই লিখবো তবে আমি তেমন অন্য কোন বন্ধুদের সাথেও মিশতাম না তাই কিভাবে চিঠি লিখব তাও জানতাম না আর এর জন্যই আনস্মার্ট। পাগলের মত গনিত খাতায় এপিঠ ওপিঠ দিয়ে চার পিষ্ঠা ভরে লিখলাম মানে মোট গিয়ে দাঁড়ালো আটঁ পিষ্ঠা। মনে হল মহান নেতা শেখ মুজিবের ভাষন লিখলাম। আমিতো লিখে খুব খুশি যে এবার প্রেমটা করা শুরু হল মাথায় এই চিন্তা নেই যে প্রস্তাব প্রত্যাক্ষান ওত করতে পারে এর কারন একটাই আমার মনটা ছিল বাচ্চাদের মত সরল। চিঠিটা আন্টি নিয়ে দিল আছিয়ার কাছে।তবে আন্টি আছিয়াকে আমার চিঠি লেখার কথা আগেই জানিয়ে রেখেছিল। আছিয়া সন্মতি দিয়েছিল বলেইতো চিঠি লিখে ছিলাম তানাহলে আবার চিঠি লেখা, কোনো দিনও সাহস পেতাম না। আছিয়ার কথা একটু বলি ও পঞ্চম শ্রেণীতে বিত্তি পেয়েছে কিন্তু ও অনেক চালাক ছিল। সব ধরনের মেধা ওর ছিল। ও পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত আমাদের বাড়িতে আমার চাচির কাছে প্রাইভেট পরেছে, যে চাচার পাশে আমি বড় হয়েছি তার ওয়াইফ।আমি ওকে ভালোবাসি বলে মনে হত ও বিত্তি পায়নি পেয়েছি আমি। একই গ্রামে দুজনের বাড়ী মাঝে এক কিলো দুরত্ব। বুঝতেই পারছেন চোখের সামনে তির তির করে বড় হয়েছি আমরা দুজন।প্রাইভেট পরার সময় ও পরিস্কার আর আমি অপরিস্কার খেলাম চাচির বেতের বারি। ও ভালো পরা পারে আমি কেনো পারি না খেলাম বারি। ওর জামা কাপড় পরিস্কার আর আমি অপরিস্কার খেলাম বারি। ওর হাতের লেখা সুন্দর আমার টা লাইন
২য় খন্ড ব্যাকা খেলাম বারি। ও পঞ্চম শ্রেণীতে পরে আর তিনবার কুরআন শরিফ খতম দিয়েছে আর আমি কেনো ছিপারা ছারতে পারলাম না খেলাম বারি। এভাবেই ওর সুনামের জন্য আমি মার খেতাম। ওর ভাল গুণ শুনতে শুনতে মনের ভিতরে প্রথমে রাগ থাকতো তার এক বছর পর থেকেই মনে মনে অনেক ভালবেসে ফেললাম।সেটা প্রকাশ করছি চিঠির মাধ্যেমে এত আনন্দ কোথায় রাখি বলেন তাই আট পেইজ লিখে ফেললাম এক রাতেই। আরও মনে হয় আট পেইজ লিখলে লিখলাম কিন্তু রাত বেশি হওয়ার কারনে লিখলাম না। হাই স্কুলে যখন দশম শ্রেনীতে পরি তখন আমাদের হাই-স্কুলের এমের ছারের নিকট দুজনে একই সময়ে প্রাইভেট পরি।আমি দশম শ্রেনী আর ও অষ্টম শ্রেনী। এরই মাঝে একটা ছবিতে দেখলাম নায়ক যখন নায়িকাকে দেখে তখন ভয়ে নায়কের হাত থেকে বই নিচে পরে যায় বলে নায়িকা বান্ধবিদের নিয়ে হাসা হাসি করে তাই দেখে নায়কটা অনেক মজা পায়। ঠিক একই কাহিনী করে ওদেরকে হাসাতে পারলাম বলে নিজেকে নায়ক মনে হচ্ছিল। এদিকে ওরা ঝোকার মনে করে হাসছিলো কিনা সেটা আর মাথায় ঢুকলো না। সেদিন স্যার স্কুল ছুটি দিয়ে আসায়ও দেরি করলো বিধায় ব্যাগ রেখে বাইরে এসে দাড়ালাম আমি একাই। দেখি আছিয়া সহ ওদের বান্ধবি আমার পাশে এসে দাড়ালো। আমি আছিয়ার চোখের দিকে তাকালাম দেখে আছিয়া বেশ লজ্জা পেল আর মিট মিট করে হাসতে লাগলো। আর আমাকে আটকায় কে, আমি লজ্জায় আকাশ ভাঙ্গার অবস্থায়।মনে হল ও ছেলে আর আমি মেয়ে হয়ে গেছি।কারন প্রথম চিঠি দেওয়ার পর দেখা হল। মুহুর্তটা যখন অতি আনন্দের ছিল ঠিক তখন(কথায় আছে সুখের পরেই দুঃখ আসে হাসির পরেই কান্না)। আছিয়ার এক বান্ধবি আমার দেওয়া চিঠিগুলো বের করে জোরে জোরে আমাকে শুনিয়ে পরতে লাগলো। আমি আবার দুঃখ আটকে রাখতে পারতাম না, কোনো কাজে কষ্ট পেলে সাথে সাথে মেয়েদের মত কেদে ফেলতাম। সত্তি কথা বলতে ওই জীবনটায় সাদা মনের খাটি মানুষ ছিলাম। সাদা মনে কাদা লাগলে যা হয় তাই হল। আমার প্রথম জিবনের প্রথম ধাক্কায় রেগেমেগে আলাদা যায়গায় গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পরলাম। আর মেয়েদেরকে ঘৃণা করতে লাগলাম।মনে মনে আমি সব কিছু ভুলে গেলাম যে আর প্রেম করার কথা মুখেও আনবো না। কয়েক দিন পর আমার ফেরত চিঠিটা আর সাথে ডায়রিতে লেখা একটি পেইজে আমার জন্য চিঠি আছিয়ার তরফ হতে। আমি দেখে আকাশ থেকে পড়লাম। বুক ধরপর করছিলো এমন ভাবে মনে হয়েছিলো সাউন্ড বক্সের সামনে পিপরা আমি। গভির রাতে পরা শুরু করলাম। আমাকে লিখেছে আগে পরিক্ষা ভালভাবে দেন তারপর দেখা যাবে এবং আরো ভালো ভালো কথা কিন্তু এগুলো আমার কাছে বিষের মত মনে হলো। প্রেমের কোন কথা পেলাম না বলে এত রাগ হল নগদ আমার চিঠি সহ আছিয়ার দেয়া চিঠি সব ছিরে ফেললাম। কদিন পরেই চিঠি ছিরে ফেলার আফসোস করলাম আর বুজলাম এই আফসোস সারা জীবন বয়ে বেড়াতে হবে। আমি মোটেই ভালো ছাত্র ছিলাম না কিন্তু
৩য় খন্ড আছিয়া ভাল ছাত্রী ওর মত তো হতে হবে। তার পরে আবার চিঠিতে লিখেছে আগে এসএসসি পরিক্ষায় পাশ করেন, তাই চার মাস খুব পরে আসা করার থেকে অনেক ভালো ফলাফল পেলাম। এসএসসি পাশ করার পর অনেক আনন্দে আছিয়াকে মিষ্টি খাওয়ানোর জন্য স্কুলে খবর পাঠালাম কোন একজনকে দিয়ে আর আমি বাজারে দাড়ানো ছিলাম। আছিয়া আসলো বাজারে আর, রুক্ষ গলায় মানে রেগে বলল আপনি কি পাগল নাকি, যে আপনি মিষ্টি খাওয়াবেন আর আমি সেই মিষ্টি খাব। (আবার সাদা মনে লাগলো কাদা) বলার সাথে আর দেরি না করে দুরে গিয়ে মেয়েদের মত কান্নায় ভেঙ্গে পরলাম। সে কান্না কয়েকদিন ব্যাপি চলল। ভাবলাম আমি আর কখনই ওর সামনে যাব না। আমার আবার খুব রাগ হলেও দশ দিনের বেশি রাগ থাকে না। যার জন্য রেগে সেটা গ্রহণ করি না কিন্তু দশ দিন পর আবার সেটার জন্যই আফসোসে পাগল হই। তাই আবার একা একা ওকে ভুলে গেলাম আবার কিছুদিন পর পাগলের মত ওকেই মনের মধ্যে ভালবাসতে লাগলাম। আমার জিবনে আছিয়াকে কলিজার বাইরে রেখেছি খুব রাগ হলে দশ দিন। আমার এর পরে আর আর আছিয়ার সাথে কথা বলার সাহস হয় নি এক বছর এই বিষয় নিয়ে। দেখা হলে শুধু কেমন আছো আর কিছু না। ওকে ভালোবেসে যাব কিন্তু ওর সাথে কথা বলবো না, মনের মাঝে এরকম কিছু কাজ করতো। তাই প্রত্যেক দিন ওর স্কুল ছুটির সময় রাস্তায় থাকতাম কিন্তু কথা বলতাম না ওকে দেখাতাম যে আমি ওকে দেখেই রেগে চলে যাচ্ছি। লোকসান টা যে আমারই হচ্ছে সেটা আর বুঝতাম না। তাই বোবার মত শুধু দেখেই সান্তি পেতাম কথা বলতাম না। কথায় আছে না পাগলের সুখ মনে মনে ঠিক এরকমই হয়েছিল আমার ব্যাপার টা। ও এসএসসি পরিক্ষা দিল আর আমি আটকা পরে গেলাম চাচার দোকানে পার টাইম মানে সকাল টু সন্ধা। ওকে না দেখতে পেরে পাগলের মত আচারণ করতাম সবার সাথে। আমি কলেজে পরি কিন্তু কলেজে জাওয়ার মত সুজোগও হয় না। তাই চাচার দোকানে লালবাতি জালিয়ে দিলাম মানে ঔষধের দোকানের মালামাল আর নেই বাকি দিতে দিতে। ব্যাচ দোকান একেবারে বন্ধ করে দিতে হলো মাত্র এক বছরের মত থাকার পর। আছিয়া এসএসসি পরিক্ষা দেওয়ার আগে ঠিক করলাম আমি আমাদের কলেজ হষ্টেলে থাকবো কারন এইচএসসি তো পাশ করতে হবে।তাই অনেক দিন পর এ ব্যাপারে আছিয়ার সাথে কথা বলতে যাচ্ছি। ও স্কুল থেকে আসার মাঝ পথে দেখা হল আর আমি মনে হল ওকে ছেরে যেতে পারবো না। কিন্তু যেতে যে হবেই। যেই না বললাম চলে যাচ্ছি ম্যাচে আর আমাকে আটকায় কে বাচ্চাদের মত কাদতেঁ সুরু করলাম।আমি আবেগে মনে হচ্ছিল ওকে ছেরে চলে যাচ্ছি ওনেক দুরে তাই কাদঁছিলাম। ওরা তো অবাক হয়ে গেলো আমি এরকম ভাবে কাদছি কেনো।ওরা বলল কাদছেন কেনো। প্রিয় পাঠক বলছি আমি এই প্রথম বার আছিয়াকে ছেরে দুরে কোথাও থাকতে যাচ্ছি বলে কেদেছিলাম। আমার মনে হত দুরে গেলে ওকে বুঝি চির তরে হারিয়ে ফেলেছি। যদি ছুটি
৪র্থ খন্ড গল্পটি পরে থাকেন বুঝবেন আপন মানুষ ছেরে গেলে কি কষ্ট হয়।আর ওকে আমি কখনই পর বা আরো চোখে দেখিনি। ওরা আমাকে বলতে লাগলো কান্নার কি আছে আমি তখন বললাম এটা বুঝবা না বলেই আর কোন কথা না বলে চলে গেলাম বাজারে দিকে। তার কিছুদিন পর ম্যাচে গেলাম ব্যাচ এক সপ্তাহ পর পর বাড়ি আসি আর বাড়ি থেকে রাগারাগি করে। বলতে লাগলো ম্যাচে গিয়ে থাকতে পারিস না বাড়ির টানে আবার বিদেশ যাবি। কিন্তু বুঝলো না যে কিসের টানে বাড়িতে আসতাম। এর মাঝে ওকে অনেক বেশি ভালোবেসে ফেলেছিলাম দুরে গিয়ে থেকে। তাই আর বেশিদিন ম্যাচে না থেকে বাড়িতে চলে এলাম।কারন ওর একটা গুন ছিলো সেটা ও কারনে অকারনে আমাকে দেখে হাসতে শুরু করলো। হাসবেই না কেনো এক-দেড় বছর হলো প্রপোজ করেছি কিন্তু আমার মুখে বা সরাসরি কোন ভাবেই নিজে গিয়ে বলিনি যে আমি তোমাকে ভালোবাসি। কারন আমি ছিলাম কথায় এবং বাস্তবে বোকা ও আনইস্মার্ট। তাই ওকে দেখলেই ভয়ে আমার হার্ট কাপতে সুরু করতো কারন রাস্তায় আমাকে একা পেলেই ও আর ওর বান্ধবি মিলে হাসা সুরু করতো। ভাই কি বলবো আমার মনে হয় তখন যে হাসিটা দেখতাম ওর মুখে এখন আর বলতে প্রায় পাচঁ বছর ওর মুখে এরকম হাসি দেখিনাই। বাচতবেও অন্য কোনো মেয়েকে ওরকোম ভাবে মনখুলে হাসতে দেখিনি। একবার আমাকে পাগলের মত রাস্তায় দেখে ওদের দুই বান্ধবি হাসতে হাসতে পেট ধরে বসে বসে হাসতে লাগলো। ভাই সেই হাসি আজও মনের মাঝে বেজে চলছে। বিঃদ্রঃ আমি ওর সামনে বোকার মত যেতাম ওকে হাসানোর জন্য কারন আমি আরিয়ার মিঃ পারফেক্ট ছবিতে দেখতাম ও বোকার মত থাকতো বলে প্রেমটা হয়। এভাবে চলতে থাকে বেশ কিছুদিন কোন কথা না বলেই একদিন হটাৎ দেখি ওরা দুজন আমি যেখানে দাড়ানো সখানেই আসলো। এসে বললো ওর বান্ধবি, ভাইয়া আপনার এডভান্স গাইডটা দেবেন আমার নাই তাই না করে দিলাম।ওরা আসা করে এসেছিলো আমার না থাকলে ম্যানেজ করে তো দিবে কিন্তু ভয়ে সত্যিকথা বেরিয়ে গেছে। এইজে ওদের বই না দিতে পারার আপসোস আমার মনে হয় মনের মধ্যে যতকাল বেচে থাকবো ততকাল থেকে যাবে। ওপরিক্ষা দিয়ে পাশ করলো কিন্তু এ-প্লাস পেলো না তাই ও অনেক কান্না করলো। কিন্তু আমি যানতাম না যে ও কান্না করছিল তাই না জেনেই আমার বন্ধুদের মিষ্টি খাওয়ালাম আমি। ওর চেহারাটা তামিল নায়িকা তামান্নার মত প্রায় একই। তামান্নার বয়স ওর থেকে বেসি তাই তামান্নার সাস্থ্যটা একটু বেসি আর আছিয়া চিকনা। কিছুদিন পর ও একটা নিজের কাছে রাখার জন্য মোবাইল কিনলো আর একটা সিম কিনলো যেদিন ঠিক সেদিন না মনেহয় তার একমাস পর নাম্বার পেয়েই মনে হলো ওকেই কাছে পেয়ে গেলাম। কিন্তু ফোন করার সাহস পাই না। আবার রাগ হচ্ছিল মেয়ের হাতে ফোন যদি অন্যান্য ছেলেদের সাথে কথা বলে। এভাবে দুই তিন মাস কেটে গেলো তার পর কয়েকটা বন্ধুদের নিয়ে সাহস করে ফোন দিলাম ও
৫ম খন্ড ফোনটা পেয়ে আসতে আসতে কথা বলতে লাগলো আর সাথে বললো রাত্রে ফোন দিয়েন। আমি ফোন কেটে দেয়ে খানিকটা নাচা সুরু করলাম। আমার বন্ধুরা সবাই অনেক খুশি আর আমি পরের ফোন করার অনুমতি পেয়ে সবাইকে খাওয়ালাম।এই বন্ধুদের জানাজানি বিষয়টা আছিয়া কিছু জানে না জানলে কথাই বলত না ভয়ে(মানুষ যখন ভুল করে তখন সে আবেগে থাকে আর আবেগ চলে গেলে বিবেক এসে সারাটা জীবন ভুলের খেসারতের জন্য কাঁদাতে থাকে)। মোবাইলে অনেক টাকা ভরে রাতে ফোন করলাম তখন অন্যরকম কথা বলতে লাগলো। আসতে আসতে করে বললো, আর আমাকে ফোন কইরেন না আমার আব্বু আম্মু শুনলে আমাকে মেরেই ফেলবে। আমি তখন ব্যাপারটা ম্যানেজ করতে গিয়ে আমাকে আর ধরে রাখতে পারলাম না। ওকে আমার মনের কথা বুঝাতে না পেরে কেঁদে ফেললাম এবং ও শুনলো আমার কান্না সাথে বন্ধুরাও শুনলো। তারপর আছিয়া বললো ঠিক আছে মাঝে মাঝে ফোন দিয়েন। অনুমতি পেয়ে মাঝে মাঝে ফোন দিয়ে আমার মনের কথাগুলো বলতাম আর ও শুনতো কিন্তু ও খুব চালাক চতুর থাকায় ও আমাকে ভালোবাসে কিনা সেটা বলতো না। তাই আমিও আর জোরাজুরি করতাম না। প্রায় একবছর নেশার মত কয়েকদিন পরপর কথা বলে গেলাম ও বলতো আমার জিবনে এই প্রথম মোবাইলে কোনো ছেলের সাথে কথা বলছি আর বলত আপনার সাথে কথা বলে চোরের মত আসতে কথা বলা শিখেছি। এর মাঝে ও আমাকে কতটা ভালো বেসেছে সেটা বুঝতে পারিনি ঠিকি কিন্তু আন্দাছ করেছিলাম যে ও আমাকে আমার মত অনেক মিছ করে। আর এই ভুল আন্দাজ করাটাই ছিলো আমার জীবনে সবচেয়ে বড় ভুল। এইটা ভাবার জন্যই আমি ওকে আমরণ ভালোবেসে ফেলেছিলাম। এভাবেই আরও বেশ কিছুদিন কথা বললাম কিন্তু ভাবিনি আমি আর এভাবে বেশিদিন কথা বলার যগ্যতা রাখতে পারছি না। কারন মেয়েদের বারবার ভালোবাসি ভালোবাসি কথাটা শুনতে ভালোলাগে না ওরা সবসময় নতুন কিছু পেতে চায়। কিন্তু আমি আগে অন্য কোনো মেয়ের সাথে কথাই বলতে পারতাম না আছিয়াই আমার জীবনের প্রথম তো তাই কিভাবে মেয়ে পটাতে হয় সেটা বুঝতাম না এমনকি কিভাবে ভালোবাসলে ওর কাছে ভাল থাকা যায় বা মন পাওয়া যাবে সেই সাধারণ জ্ঞানটুকি নেই। এক পর্যায়ে এভাবে কথা বলতে বলতে আমার কোনো কথা ওর ভালো লাগে না। তাই ওকে ফোন করলেই রেগে যায়। তার কিছুদিন পর ও আমাকে বললো আপনার সাথে কথা কি বলবো এখন যা বলছি তা কালকেই শুনবো অন্য জনের মুখে। আমি শুনে আসচর্জ হলাম বন্ধুদের মাঝ থেকে বিশ্বাস ঘাতকতা করছে আমার মন সরল থাকায় বুঝতে পারলাম না কে এই কাজ গুলো করছে। আমার একটা বদ অভ্যাস ছিল ওর সাথে কথা বললে অটোরেকোর্ডিং অন করতাম। তবে সেটা আছিয়ার মুখে এই কথা শুনার অল্পকিছুদিন আগে থেকে করতাম। আরেকটি বদ অভ্যাস ছিল সারা রাত এগুলো রিপিট করে করে শুনতাম আর যেখানে একটু মজা করে গল্প করেছি সেটা তিন-চারটা বন্ধুদের শুনাতাম। আর এর মাঝেই কথাটা লিক হয়ে আছিয়ার কানে পৌছে দেয়া হয়েছে। দুঃখের বিষয় আজওব্দি ধরতে পারিনি আমার এই বিশ্বাস ঘাতক বন্ধুটাকে। এভাবেই ভুল বোঝাবুঝি চলতে থাকে। এর পর ও আমাকে পরিস্কার ভাবে যানিয়ে দিল আপনি আর আমাকে ফোন করবেন না যদি আমাকে বিশ্বাস করেন তাহলে এতটুকু বিশ্বাস কইরেন আমি কখনওই কোন ছেলের সাথেই প্রেম করবো না। আমি নিজেকে যতটা বিশ্বাস করতাম তার থেকে হাজার গুণ বেশি বিশ্বাস করেছিলাম আছিয়াকে। তাই আমার মনে হল আর ফোন দেওয়া যাবে না কারন বুঝলাম ও প্রেম করবে না আর যদি করে তাহলে আমার সাথেই তো করবে নাহলে আমাকে একথা কেনো শুনাবে। কথা বলা বাদ হওয়ার মাঝে আমাকে একটা আশ্বাস দিয়েছিল আপনি ইনকাম করার জন্য কিছু একটা করেন। সেটা মনেপরে আমি আর বাড়ি থাকবো না তাই বাড়িতে রাগারাগি করে বেডিং পত্র গুছিয়ে ঢাকায় রওনা হলাম আমি আর আমার চাচাত ভাই দেখি কিছু করতে পারি কিনা। কিন্তু আমার চাচাতো ভাই গেলো আমাকে যেতে দিলো না। আমাকে বললো তোর কাজ এদিকেই ঠিক করে দিচ্ছি। আমি বললাম তিন দিন সময় দিলাম যে কাজই হোক না কেনো আমি করবো না পারলে দরকার হয় ঢাকা গার্মেন্স যাব। ঠিক দুই দিন পর ঔষুধের দোকানে কর্মচারী থাকলাম। আমার উদ্দেশ্য হাসিল হল কিন্তু আছিয়ার সাথে কথা বলতে পারছিনা দেখে আমি পাগল হয়ে গেলাম। আবার ওকে সরাসরী ফোন করতে পারছি না কারন যদি ও বলে না করা সত্তেও ফোন করলেন তাহলে মনেহয় আমাকে বিশ্বাস করেন না। তা এখন কি করবো সেটা বুঝতে পারছিলাম না। তাই শিদ্ধান্ত নিলাম ভয়েজ চেন্স করে কথা বলে মনের জালা মিটাবো যেমন চিন্তা তেমন কাজ। কিন্তু রং নাম্বারে যদি কথা না বলে বকা দেয় তাই ওর ফোনে ফ্লাক্সিলোড করলাম। তারপর অন্য ভয়েজ দিয়ে কথা বলার আগে সাহস করে আমার নম্বার দিয়েই ফোন করে নিলাম দেখি ও ফোন রিসিভ করলো। এতদিন পর প্রায় তিন মাস কেটে গেছে কথা বলছি কিন্তু ও বেশি কথা বলল না শুধু বললো আপনি কি আমার ফোনে কোনো টাকা ফ্লেক্সিলোড করেছে আমি বললাম না আর অমনি ও বললো কে যেনো আমার ফোনে টাকা পাঠিয়েছে একথা বলেই রাখি বলে ফোনটা কেটে দিলো আর ফোন ধরলো না। তখন আমি দিশেহারা হয়ে ভয়েজ পরিবর্তন করে কথা বলতে শুরু করলাম, ভুলে আপনার মোবাইলে টাকা লোড হয়ে গেছে সেটা বলে। কি কথা বললাম সেটা বলবো না তবে ওর প্রতি আমার যে বিশ্বাস ছিলো সেটা আর থাকলো না তাই আর শয্য না করতে পেরে পাগলের মত উলটা পালটা বকা দিতে শুরু করলাম আমার আসল পরচয় দিয়ে। কথায় আছে মনটা কাচের মত একবার ভাংলে জতই জোরা লাগানো যায়না কেনো আগের মত মসৃন হবে না ভাঙ্গা দাগ থেকেই যায় সারা জীবন। ও ধরা পরে গিয়ে বাড়িতে নাকি ভাংচুর করে
৬ষ্ঠ খন্ড বলেছে রাজু আমাকে রং নাম্বারে ফোন দিয়ে ডিস্ট্রাব করছে এর একটা বিচার করতে হবে। ওর বাড়ি থেকে আমার বাড়ি লোক আসলো আর আমার গার্ডিয়ানের কাছে বিচার দিলো, আর আমি আমার সমস্ত কথা গোপন রেখে আমার অপরাধ শিকার করে নিলাম। তাই আমাকে ওর মা-বাবার কাছে গিয়ে ক্ষমা চেয়ে আসতে হয়েছিলো।ও আমাকে ভুল বুঝলো ও মনে করলো আমি ওকে ছোট করার জন্য এই ফাদ পেতেছি। কিন্তু আমার তো ওর সাথে কিভাবে কথা বলা যায় তার একটা উপায় বের করতে গিয়ে ওর অন্য আরেকটা রুপ দেখে ফেললাম। কিছুদিন পর আবার পরিস্থিতি ঠান্ডা হয়ে যাওয়ার পর আমি ওকে ফোন করি। তখন ও আমাকে ভলো ভাবে গ্রহন করলো আর সব কথা বলতে লাগলো ভালোভাবে। আমাকে বললো আমিতো আপনার সাথে এমন কোনো কথা বলিনি, যাতে আমার অপরাধ হবে। আমি বললাম ভুল তো আমার তুমি সত্তিই অনেক ভালো মেয়ে বলে ওকে খুশি করলাম। কিন্তু কি কথা বলেছিলাম ও ভুলে যেতে পারে কিন্তু আমি ভুলবো না মনের দাগ লাগলে সেটা উঠানো যায় না কথায় আছে কয়লা ধুলে ময়লা যায় না। তবুও ভালোতো বাসি ওকে তাই আছিয়াকে উপরে রেখে আমিই মাথা নত করলাম। কারন আমি ওর ভলোবাসা পাওয়ার জন্য প্রচুর দূর্বল ছিলাম। কয়েকদিন পর আছিয়ার সাথে পরে ওরই একটা ছেলে ফ্রেন্ড এসে অনেক কছম কেটে বললো ভাই বিশ্বাস করেন পারভেস নামে ওর ক্লাসমেট এর সাথে ওর গভির সম্পর্ক ছিলো। ও এমন ভাবে কথাগুলো বললো অল্প একটু বিশ্বাস হল। তাই আছিয়াকে খোলামেলা ভাবে জিজ্ঞাসা করলাম। ও বললো এক ক্লাসে তাই হয় নাকি। আরও আমাকে বিশ্বাস করানোর জন্য বললো উপরে আকাস নিচে মাটি আর মাঝে আমি আমার বলার কথা আমি বললাম বিশ্বাস করার দায়িত্ব আপনার। সেবার কথা শেষ করে পরেরদিন ওর ওই বন্ধুটিকে ধরলাম ও আবার এমন ভাবে কছম কাটতে লাগলো যে আবার দোটানায় পরে গেলাম। ও বললো যদি পারেন তাহলে পারভেসের নম্বার আছে কিভাবে যানবেন সেটা আপনার ব্যাপার। আমি নম্বার নিয়ে অন্য পরিচয় দিয়ে সম্পর্ক গড়লাম মূহু্র্তের মধ্যে। তারপর পারভেজ সব কথা বললো যে আছিয়া আমাকে অনেক পছন্দ করে কিন্তু আমি আজ একটা কাল আরেকটা এভাবে প্রেম করি। আছিয়া বেশি ইমোশনাল তো তাই ও আমার জন্য অনেক কেঁদেছে। আর ওদের ক্লাসে কে কার সাথে প্রেম করত তাও বললো। আমি ওকে বললাম আমার এই কথা বিশ্বাস হয় না, সত্যি আমার বিশ্বাস হলো না কারন আছিয়াকে আমার বিশ্বাস আগে যেমন তেমন প্রবাদ বাক্যটি শুনার পরে ওকে অবিশ্বাস করার কথা কল্পনায়ও আনতে পারিনি। কাউকে বেশি বিশ্বাসের ফলাফল যা পেতে হয় তাই পেলাম। ফোন কনফারেন্সে পারভেজের সাথে আছিয়া কথা বললো। এটা শুধু আমাকে বিশ্বাস করানোর জন্য পারভেজ করলো।
শুনুন কি কথা হয়েছিলো সেদিন-
আছিয়াঃ সালাম।
পারভেজঃ উত্তর, কেমন আছো।
আছিয়াঃ কি ব্যপার তুমি এই নম্বার কার।
পারভেজঃ আছিয়া তুমি কি আমাকে এখনো ভালোবাসো।
আছিয়াঃ (হাসতে হাসতে) আগে বল এতদিন পর হঠাত্ এই প্রশ্ন কেন?
পারভেজঃ দরকার আছে।
আছিয়াঃ আগে আমার টা বল কি দরকার তারপর তোমারটা বলছি।
(ভাই ওর যে এত সুন্দর কথার মাঝে মায়া আমি এইটা না শুনলে কোনদিন বুঝতাম না যে ওর এত শুন্দর ভয়েজ আছে। কারন ভালোবাসার সত্যিকারের মুহুর্ত আসলে যেমন টা শুর আসে।)
পারভেজঃ চুপচাপ।
আছিয়াঃ তোমার নম্বার তো এইটা না এই নাম্বার টা কার।
পারভেজঃ নতুন নিয়েছি একটা নম্বার বেশিদিন ইউজ করি না।
আমি আর শয্য করতে না পেরে দুটোর লাইনই কেটে দিয়েছি। আছিয়া বার বার এই নাম্বারে ফোন করছে কিন্তু আমি ফোন তুলছি না, কারন আমি তো পারভেজ না। প্রিয় পাঠক আপনারাই বলুন যদি ভালোবাসাই না থাকতো তাহলে কেনো পারভেজ বলবে তুমি কি এখনও আমাকে ভালোবাসো আর আছিয়াই কেনো বলবে না যে তোমার সাথে আমার প্রেম ভালোবাসার সম্পর্ক নাকি তুমি এটা জিজ্ঞাসা করছো কেনো। ভাই বেশি লম্বা করবো না তাই বলছি যে এমন প্রতারিত হয়েছে সেই যানে যে কি অবস্থা হয়। এখানেই থেমে নেই তারপর মাথায় আসলো দেখি আমি ওর মনের কোন পজিশনে পৌছেছি সেটা যানি। আমি আমার বন্ধুদের খবর দিয়ে বললাম সব কাহিনি শুনে ওরা বলল মেনে নাও এটা কিছুই না। কিন্তু আমার সাথে কেনো এমন হল, আমি তো জীবনের প্রথম জীবনের চেয়ে বেশি ভালো বেসেছি আমি তো চেয়েছি ফ্রেশ একটা মন। পারভেচের বন্ধু সেজে আমার বন্ধু সুলতান আছিয়াকে বললো রাজু কিজেনো বলেছে দেখে পারভেজ কান্না করছে। আর ভাই আছিয়া বললো বিয়াদবের কথা শুনে ও এমন করতেছে কেনো। পারভেজের কাছে ফোনটা দেন আমি বুঝাচ্ছি পারভেজ কথা আপনার সাথে বলবে না। আছিয়া বলতেছে রাজুকে যে কি করব সয়তানের